ওয়েব ডেস্ক: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ১৫৩টি। শতকরা হিসাবে যা মোট ভোটারের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ।
এদিকে, আইন অনুযায়ী কোনো আসনের নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে। চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রদত্ত ভোটের হিসাব অনুযায়ী কোনো প্রার্থী ৭ হাজার ১৪৪ ভোট না পেলে তার জামানত বাতিল হবে। এ পরিমাণ ভোট আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু ছাড়া আর কেউ পাননি।
রোববার (৩০ জুলাই) রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ঘোষিত ফলে নৌকার মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সামসুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭২ ভোট।
ঘোষিত ফলে বাকি ৪ প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৩০ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী বেলুন প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮০ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রকেট প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট।
এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আসনটিতে এবার সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নগরের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১০ আসনটি গঠিত। গত ২ জুন আওয়ামী লীগের সাংসদ আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়।
এবারের উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে দুজন জুডিশিয়াল এবং ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ৪ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৪টি টহল দল এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ছিল।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো প্রার্থীও অভিযোগ করেননি।